উত্তর: ভূমিকা: প্রকৃতির রূপসী কন্যা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি এই বাংলাদেশ। ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। এটি একটি বিশাল শহর। আমাদের এই দেশ শীর্ষক রচনায় এই দেশের শহর সমূহের মনোজ্ঞ বর্ণনা দেয়া হয়েছে। অবস্থানগত ও বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনায় শহরগুলোর মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। তবে গঠনগত ও সাধারণ উপাদানগত বিভিন্ন সামঞ্জস্য শহরগুলোর মধ্যে দেখা যায়।
শহরের বর্ণনা: ছোট-বড় অনেক শহর রয়েছে এদেশে। এসব শহরের উঁচু উঁচু ইমারতগুলো ইট, কাঠ আর পাথর দিয়ে তৈরি। এখানকার প্রশস্ত রাস্তাগুলো পিচ আর সিমেন্টে গড়া। এসব রাস্তায় চলে বাস, ট্রাক, রিকশা, অটোরিকশা, সাইকেল ইত্যাদি যানবাহন। রাস্তার পাশে ফুটপাথ ধরে পথচারী হেঁটে যায়। কর্মমুখর এই শহরের কর্মজীবী মানুষেরা নানান কাজে ব্যস্ত থাকে। কেউ অফিস-আদালতে কাজ করে, কেউ করে ব্যবসা-বাণিজ্য। কল- কারখানায় কাজ করে শ্রমিকরা। নানা পেশার মানুষ জীবিকার তাগিদে শহরে এসে ভিড় করে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বেড়ানোর জন্য শহরে রয়েছে পার্ক ও উদ্যান। অবসর সময়ে শহরের লোকজন গাছপালা ও ফুলে ফুলে সাজানো পার্কে বেড়াতে যায়। ছুটির দিনে কেউ কেউ যায় জাদুঘরে, কেউবা যায় চিড়িয়াখানায়। চিড়িয়াখানায় রয়েছে পৃথিবীর নানা দেশের বিচিত্র সব জীবজন্তু। খেলাধূলার জন্য শহরে স্টেডিয়াম থাকে, থাকে নানা ধরনের ক্রীড়া সংগঠন, ক্লাব এবং ধেলাধুলা ও শরীর চর্চার নানা উপকরণ ও পরিবেশ। শিক্ষার জন্য শহরে আছে উন্নত মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসার জন্য আছে আধুনিক হাসপাতাল ও ক্লিনিক।
পরিশেষে বলা যায় যে, শহরের মানুষগুলো খুবই ব্যস্ত। এর পরিবেশ কোলাহলময়। শহরের উন্নতির সাথে যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশ ঘটে এবং জীবনযাত্রার মানও বৃদ্ধি পেতে থাকে। একের দুঃখে অপরের সহানুভূতির প্রকাশ এখানে খুবই কম।
No comments:
Post a Comment