Saturday, August 9, 2014

কখন নবান্ন উৎসবে সবাই মেতে ওঠে?

 এদেশের কয়েক প্রকার ধানের নাম লিখ।
উত্তর: বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। ধান এদেশের প্রধান কৃষিজাত ফসল।
নবান্ন উৎসব: নবান্ন উৎসব এদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসব। বাংলাদেশে কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এই দু’মাস নিয়ে হেমন্তকাল। এ সময় ধান পাকে। সোনালি ধানের মিষ্টি গন্ধে চারদিক আমোদিত হয়। সবার ঘরে ঘরে নতুন চালের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে। এ সময় নবান্ন উৎসবে মেতে ওঠে গ্রামের সবাই। গ্রামের ঘরে ঘরে আনন্দের ঢেউ জাগে। রাতের বেলা গ্রামে গ্রামে বসে গানের আসর।
কয়েক প্রকার ধানের নাম: এ দেশের উর্বর মাটিতে নানা ধরনের ধান ফলে। এদের নাম শুনতেও বেশ ভালো লাগে। যেমন- অঞ্জনলক্ষ্মী, আকাশমণি, পক্ষীরাজ, কাশফুল, বাঁশফুল, বাসমতি, বিন্নি, শক্সক্ষমুখী, মানিকশোভা, কালজিরা, বাদশাভোগ, কাটারিভোগ, বালাম, বিরুই প্রভৃতি।

১।    আষাঢ় কবিতার মূলভাব আলোচনা কর।
    অথবা, আষাঢ় কবিতায় কীভাবে গ্রামবাংলার বর্ষার রূপ ধরা দিয়েছে- আলোচনা কর।
    উত্তর: ‘আষাঢ়’ কবিতাটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১) ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে। বর্ষাকালে গ্রামবাংলার চিরন্তন রূপ এ কবিতার উপজীব্য বিষয়। আষাঢ় মাসে সারাদিন ঝরে অবিরাম বৃষ্টির ধারা । আকাশ ছেয়ে যায় কালো মেঘে। চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসে। ধানক্ষেত পানিতে ডুবে যায়, পথঘাট প্লাবিত হয় অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে। চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসে। কালিমাখা মেঘের রূপ দেখে মনে হয়, বেলা যেন শেষ হতে চলছে। এ সময় ঘরের বাইরে বের হলে বিপদের আশঙ্কা থাকে। কৃষক সন্ধ্যার আগেই তার গাভিটিকে খুঁজে আনে, যারা বাইরে গেছে তারা ফিরে এল কি না খোঁজ খবর নেয়। কারণ সন্ধ্যার আগেই বিপদের আশঙ্কা থেকে নদীতে খেয়া পারাপার বন্ধ হয়ে যাবে। কবি তাই চির পরিচিত বর্ষায় সকলকে ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করেছেন।

No comments:

Post a Comment