পর্যাপ্ত
পড়াশোনা ব্যতিত পরীক্ষা গ্রহণ হবে আত্মহত্যা সমতুল্য
একজন
শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনে পরীক্ষা
বা মূল্যায়ন লেখাপড়ারই একটা অপরিহার্য অংশ। কিন্তু আমাদের দেশে তা না করে পরীক্ষাকে লেখাপড়ার ফল হিসেবে দেখা হয়।
যে কোন সমাপনী
পরীক্ষা বা মূল পরীক্ষার আগে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনেকেই তাদের
শিক্ষার্থীদের একাধিক মডেল টেস্টের আয়োজন করে থাকে
যেন তারা মূল পরীক্ষায়
ভালো করতে পারে। ফলে বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষার পরিমাণ
বেড়ে গেছে লেখাপড়ার তুলনায় অনেক বেশি। শিক্ষার্থীদের কোন বিষয় না পড়িয়ে কিংবা তাড়াহুড়ো করে পড়িয়ে তাদের
পরীক্ষা নেয়া হলে একজন
শিক্ষার্থীকে কতোটুকু
মূল্যায়ন করা যাবে সেটা
এখন প্রশ্ন হয়ে দাড়িঁয়েছে। বছরজুড়ে
শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের পরীক্ষা নেয়া হয় মধ্যে শ্রেণি
পরীক্ষা, সাপ্তাহিক পরীক্ষা, প্রথম
সাময়িক ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষাগুলো অন্যতম কিন্তু এই পরীক্ষাগুলো যদি পড়াশোনা ব্যতিতই গ্রহণ করা হয়
তাহলে তা হবে প্রশ্নবিদ্ধ।
কিছুদিন
আগেও দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর পারফরম্যান্স
মাপা হতো না- যেটা এখন প্রতিবছরই মূল্যায়ন করা হচ্ছে। বার্ষিক সমাপনী পরীক্ষা কিংবা জেএসসি বা জেডিসি পরীক্ষার প্রভাব
শুধু পরীক্ষার সময়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। যেহেতু এই দুটো
পরীক্ষার ফলাফলের সাথে বিদ্যালয়ের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের বিষয়টি জড়িত,
সুতরাং অধিকাংশ
বিদ্যালয়ই বছরধরে সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের
অতিরিক্ত কোচিং করানো কিংবা এ ধরনের কাজের সাথে যুক্ত থাকে। এর ফলে অন্য শ্রেণীর
শিক্ষার্থীদেরও পড়ালেখা বেশ কিছুটা ব্যাহত হয়।
শিক্ষার্থীদের সারাবছর
শ্রেণীকক্ষে যে পরিমাণ লেখাপড়া করার কথা, তারা সেই সময়টুকু পায় কিন্তু তাদের পরীক্ষা দিতে হয় পুরো
সিলেবাস বা কোর্সের ওপর। এক্ষেত্রে অবশ্য শিক্ষকদের করার কিছু
নেই কারণ তাদেরকে কখন কীভাবে পরীক্ষা নিতে হবে সেই নির্দেশনা আসে
কেন্দ্র থেকে। এখন কেন্দ্র যদি পরীক্ষার ওপর বেশি জোর দেয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের
পড়ালেখাকে পরীক্ষামুখী করার দিকে জোর দিবেন।
(কেবি
মডেল টেস্ট)
No comments:
Post a Comment